তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, জনবল সংকট থাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হিমসিম পোহাতে হচ্ছে।

বিদ্যুতের বিক্রয় ও বিতরণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের অধীনে উপজেলা, হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাজার, ঘাগটিয়া, নার্সারি, কাদিপুর, সিরাজনগরসহ ৭টি ফিডারের মাধ্যমে হাজার হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এ ৭টি ফিডার চালু রেখে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবাহের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৩১ জন। এরমধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ৪১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। পাহাড়, চা বাগান ও হাওর বেষ্টিত বিশাল উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে কারিগরি লোকবল স্বল্পতার কারণে প্রতি শিফটে মাত্র ৩ জন কারিগরি কর্মচারী দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। শিফট চলাকালীন সময়ে ৭টি ফিডারে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে গ্রাহক অভিযোগ থাকে। লোকবল ও বাহন স্বল্পতার কারণে গ্রাহকদের অধিক সংখ্যক অভিযোগ নিরসন সম্ভব না হওয়ায় গ্রাহকরা দীর্ঘসময় ভোগান্তির সম্মুখীন হন। অথচ ৩ শিফটের প্রতি শিফটে বাহনসহ ৩ জনের ২টি করে কারিগরি দল রাখা হলে গ্রাহকদের ভোগান্তির পরিমাণে অনেক লাঘব হত।

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কুলাউড়া কার্যালয়ের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমাদ বলেন, কারিগরি জনবল ও বাহন সংকট নিরসন বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আরও ৯ জন কারিগরি কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হলে অথবা ‘কাজ নাই মজুরি নাই’ ভিত্তিতে জনবল রাখার অনুমতি দেওয়া হলে এবং পাশাপশি আরও ৩টি মোটরসাইকেল বরাদ্দ করা হলে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সেবার গতি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তির শিকার গ্রাহকরা জরুরি ভিত্তিতে সৃষ্ট সংকট নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।